Sadia Sattar

Assistant Professor

Department of Chemical & Food Process Engineering Rajshahi University of Engineering & Technology (RUET)

 

 

যে মানুষগুলোর পরিশ্রম, সাহস দেওয়া আর উৎসাহ আজকের আমাকে তৈরি করেছে, তৈরি করেছে আজকের ইঞ্জিনিয়ার বীথি, অর্ণব, অয়ন, শাফিকে, তৈরি করেছে ডাক্তার নিসা, লিজা, লুমুকে, আর কৃষিবিদ মুনমুনকে। এমন আরও শত শত সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে শিখিয়েছে, হারুন স্যার তাদের একজন, শুধু একজন না, অন্যতম একজন, যার না থাকাতে হয়তও পরিস্থিতি এর থেকে অনেক বেশি অন্যরকম করে দিতে পারত।

স্যার এর কাছে আমরা পড়তাম কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, বায়োলজি আর ম্যাথ। ম্যাথ আর ফিজিক্স বরাবরই আমার প্রিয় সাবজেক্ট ছিল, বিপদ ছিল কেমিস্ট্রি আর বায়োলজি নিয়ে, তাও বায়োলজি পড়তে ভালো লাগত না বলে পড়তাম না কিন্তু কেমিস্ট্রির অবস্থা ছিল আসলেই খারাপ। স্যার এর অসাধারণ পড়ানোর টেকনিক আর কন্ট্রোলিং এর কারণে আমাদের অবস্থার উন্নতি হতে লাগলো, টের পাইনি কখন কেমিস্ট্রি আমার অসহ্য সাবজেক্ট থেকে সবচেয়ে প্রিয় সাবজেক্ট হয়ে গেল! একদিন দেখলাম পুরো বইটা শুধু যে আমার হাতের নাগালে তাই না, আমি লজিক দিয়ে চিন্তা করা শিখে গেছি, যে সমস্যাটা আমার বইয়ে নাই সেটাও আমি করতে পারছি, বায়োলজির যে অধ্যায় গুলো অসহ্য লাগত সেগুলো ছোট খাটো টেকনিক দিয়ে এখন মনে রাখতে পারছি,  আর শুধু মুখস্ত করতে হচ্ছে না! প্রিয় ম্যাথ আর ফিজিক্স হাতের খেলা মনে হচ্ছে, পড়াশুনা করতে এখন আর খারাপ লাগছে না তাই না, বরং ভালো লাগছে, মজা পাচ্ছি। এস.এস.সি. তে গোল্ডেন A+ পেতে পারি এটা আমি কেন, আমার বাবা – মা ও আশা করেননি (তখন তো এখনের মত সহজে A+ পাওয়ার সিস্টেম ছিল না)

কিন্তু আমি পেয়ে গেলাম! অবশ্যই আল্লাহর রহমত, বাবা মা আত্মীয় স্বজনদের দোয়া আর অন্য শিক্ষকদের অবদানও ছিল কিন্তু হারুন স্যার এর অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। স্যার আপনার জন্য অনেক অনেক দোওয়া রইল, আপনি আরও হাজার বছর বেঁচে থাকেন, আর এভাবেই মানুষকে আলোকিত করতে থাকেন…… ভালো থাকবেন আপনি, আর পুরনো এই দুষ্ট ছাত্রীগুলো কে ভুলে যেয়েন না, আমাদের জন্য সবসময় আপনার দোয়া চাই। আর ভালো থাকুক ‘MuthoSchool – মুঠোস্কুল’ নতুন ভোর নিয়ে আসুক হাজারও ছাত্র ছাত্রীর জীবনে।